বর্তমানে আমাদের দেশে একটি খবর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং সেটি হল ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ । অনেকে আবার ব্লু হোয়েল গেম ও বলে। কিন্তু এটা আদৌ কোন গেম কিনা আমার সন্দেহ হয়। আসলে এটাকে কোন গেম বলা যায়না। এটা হচ্ছে মানসিক ভাবে অসুস্থ কিছু লোকদের প্রণোদনার মাধ্যমে আত্নহত্যার মধ্য দিয়ে বিজয় এনে দেওয়ার একটি মাধ্যম যা শুধুমাত্র গেম প্রতিনিধিদের দেওয়া সাইটের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। যারা আগে থেকেই জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট এবং মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগতেছে আসলে তারাই এই ব্লু হোয়েলের ফাঁদে পা দিচ্ছে।
এটা ইন্সটল করার মত কোন গেম নয়। এবং আপনি প্লে-স্টোর ঘেটে যেই ব্লু হোয়েলটি ইন্সটল করবেন এটা আসলে আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্লু হোয়েল নয়। তাছাড়া এটা অন্য অনলাইন গেমের মতো নয় যে আপনি ব্রাউজার ওপেন করলেন এবং খেলা শুরু করলেন। এটা সম্পুর্ন একটা চ্যালেঞ্জ যা আপনাকে শারীরিক ভাবে সম্পাদন করতে হবে এবং তার প্রমান স্বরূপ সকল কার্য সম্পাদনের পর ছবি তুলে তাদের সার্ভারে আপলোড করতে হবে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েরাই না বুঝে লাফাইতেছে। অনেকে আবার প্লে-স্টোরে ব্লু হোয়েল নামে যেই গেমটা পাচ্ছে সেইটা ইন্সটল দিয়ে স্ক্রীন শর্ট আবার ফেসবুকেও আপলোড করছে এবং বলছে আমিও শুরু করলাম। আমাদের অভিভাবকেরাও ছেলে মেয়েদের মোবাইলে থেকে সব গেম আন-ইন্সটাল করে দিচ্ছে। তাতেই কি সে সুরক্ষিত?
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত যেই কয়টা ঘটনা শোনা যাচ্ছে ব্লু হোয়েল নিয়ে তার কোনটারই সত্যতা মিলেনি। আর এই দু-একদিন যাবত যেই কয়েকটা ছেলে হাতে ব্লু হোয়েল আঁকছে তারাও কোন উপযুক্ত কারন বর্ননা করতে পারেনি যাতে প্রমাণ হয় তারা ব্লু হোয়েল খেলেই এমনটা করেছে। আজ ইত্তেফাকেও একটা খবর প্রকাশ হল, সেখানে তার হাতের যেই ছবি দেওয়া সেটাকে কোন যুক্তিতে তিমির সাথে তুলনা করেছে সেটা আমি বুঝিনা। তাছাড়া তার কথাতেও তেমন কোন প্রমাণ মিলে না। সে বলেছে ফেসবুক চালানোর সময় নাকি তার সামনে একটি অ্যাপ ভাসতে থাকে আর সে তা ডাউনলোড করে।
আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল আজ একটা মেসেজ অনেকের কাছে পাঠানো হচ্ছে যে রাত নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত মোবাইল বন্ধ রাখতে, এই সময় নাকি ব্লু হোয়েল গেম মোবাইলে ঢুকিয়ে দেয়া হবে। আমরা বাঙ্গালি কেমন হুজুগে যে এই সব মেসেজ আবার অন্যদের কাছেও ফরওয়ার্ড করে দিচ্ছি।
![]() |
মোবাইলে ইনবক্সে পাঠানো ছবি |
যাই হোক, যেহেতু এই গেমের অস্তিত্ব আছে সেহেতু সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে অভিবাবকদের যে তাদের ছেলে মেয়েদের মধ্যে নতুন কোন অভ্যাস পরীলক্ষিত হয় কি না। বাংলাদেশ সরকারেরও এই দিকে নজর আছে। কিন্তু তাই বলে সতর্কতা যেন এমন না হয়, যে ভিত্তি হিন কোন কিছু একটা শুনলাম আর তার পিছেই দৌড়াইলাম, যেমনটা কান নিয়েছে চিলে শুনলাম, কিন্তু কানে আর হাত না দিয়েই তার পিছু ছুটলাম। কিছুটা নিজের বুদ্ধি দিয়ে হলেও যাচাই বাছাই করা উচিৎ।
এই প্রথম কিছু লিখলাম। মানুষ ভুলের উর্ধে নয়। তাই কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজব দুনিয়া
ReplyDeleteThanks for your comment
ReplyDelete